শীতের দিনে সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম - ছেলে/মেয়ে উভয়েই

ব্ল্যাক গার্লিক এর উপকারিতা কিভাবে খাবেন কখন খাবেনশীতের দিনে সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম শীতকালে আমাদের ত্বক যেন সবসময়ই একটু রুক্ষ আর খসখসে থাকে তাই না? ছেলে বা মেয়ে যেই হই না কেন এই শীতকালে সঠিক ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ত্বক সুন্দর রাখা কঠিন।

শীতের-দিনে-সেরা-ময়েশ্চারাইজার-ক্রিম
আজ আমি আলোচনা করব এমন কিছু সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম নিয়ে, যেগুলো ছেলে - মেয়ে উভয়ের জন্যই উপযোগী। আর কীভাবে এগুলো ব্যবহার করলে ত্বক সারা দিন আর্দ্র থাকবে  এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। পুরোটা শুনলে শীতকালেও ত্বক থাকবে মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর!

পেজ সূচিঃ শীতের দিনে সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম - ছেলে/মেয়ে উভয়েই ব্যবহারের জন্য

শীতের দিনে সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম - ছেলে/মেয়ে উভয়ের

শীতের দিনে সেরা ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বেছে নেওয়া ত্বকের সঠিক যত্নের জন্য অপরিহার্য। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক অনেক বেশি আর্দ্রতা হারায়, যা থেকে রক্ষা পেতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। ছেলে-মেয়ে উভয়ের ত্বকের যত্নে এমন ক্রিম বেছে নেওয়া উচিত, যা ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সক্ষম এবং শীতে ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সঠিক ময়েশ্চারাইজার ক্রিমে গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, শিয়া বাটার, এবং ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান থাকা ভালো। এই উপাদানগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শীতের খসখসে ভাব দূর করে। এছাড়া প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ত্বকে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কার্যকরী ফল দেয়, যা ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই নিরাপদ।

শীতে ছেলে-মেয়েরা ত্বকের প্রকার অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ক্রিম এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ক্রিম বা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজ করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে এবং শীতের শুষ্কতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

শীতের শুষ্ক ত্বকের জন্য কেন ময়েশ্চারাইজার গুরুত্বপূর্ণ

শীতের শুষ্ক ত্বকের জন্য কেন ময়েশ্চারাইজার গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে হলে প্রথমে শীতকালে ত্বকের পরিবর্তনগুলি বোঝা জরুরি। শীতকালে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক দ্রুত শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়, ফলে ত্বকে ফাটা, লালচে ভাব এবং চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ময়েশ্চারাইজার ত্বকের বাইরের স্তরে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে যা ত্বকের আর্দ্রতা বাইরে চলে যাওয়া রোধ করে। এর ফলে ত্বক মসৃণ এবং কোমল থাকে। গ্লিসারিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং শিয়া বাটার সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে, যা শীতকালে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তদ্ব্যতীত, শীতকালে ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা কমে যায়, যা ত্বককে আরো শুষ্ক করে তোলে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে এই প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা পুনরুদ্ধার হয় এবং ত্বকের সুরক্ষা শক্তি বাড়ে। তাই শীতে সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিয়ে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

ছেলে-মেয়েদের ত্বকের জন্য আলাদা ময়েশ্চারাইজার কি প্রয়োজন

ছেলে-মেয়েদের ত্বকের জন্য আলাদা ময়েশ্চারাইজার কি প্রয়োজন তা বোঝার জন্য প্রথমে তাদের ত্বকের বৈশিষ্ট্য এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে হবে। সাধারণত ছেলেদের ত্বক মেয়েদের তুলনায় মোটা এবং তৈলাক্ত হয়, যার কারণে তাদের ত্বকে বিশেষভাবে তৈল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হতে পারে।

অন্যদিকে, মেয়েদের ত্বক তুলনামূলকভাবে কোমল এবং সংবেদনশীল যা হালকা এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে এমন ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজনীয়তা বাড়ায়।

ছেলেদের ত্বকের গ্রন্থিগুলি সাধারণত বেশি তেল উৎপাদন করে, যা তাদের ত্বককে দ্রুত তৈলাক্ত করে তোলে। এ কারণে, তাদের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজার দরকার যা সহজে শোষিত হয় এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ততা রোধ করে। অপরপক্ষে, মেয়েদের ত্বকে অধিকাংশ সময় বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে শীতে। তাই মেয়েদের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজার দরকার যা ত্বককে দীর্ঘ সময় ময়েশ্চারাইজড রাখে এবং শুষ্কভাব দূর করে।

এছাড়া, ছেলেদের ত্বক প্রায়ই শেভিংয়ের ফলে সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, যার জন্য বিশেষ হাইড্রেটিং উপাদানসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হতে পারে। মেয়েদের ত্বকেও কখনো কখনো অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যারা মেকআপ ব্যবহার করেন। তাই ছেলেমেয়েদের ত্বকের জন্য আলাদা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের যত্ন আরও ভালোভাবে নেওয়া সম্ভব।

শীতের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাছাই

শীতের জন্য সেরা ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বাছাই করা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজার দরকার যা গভীরভাবে ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে হাইড্রেট রাখে।

সাধারণত শিয়া বাটার গ্লিসারিন এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযুক্ত কারণ এগুলো ত্বকে ময়েশ্চার ধরে রাখে। তেলযুক্ত ত্বকের জন্য হালকা ধরনের ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া উচিত। তেল-মুক্ত বা জেল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন কম হবে এবং শীতে ত্বক শুষ্ক হলেও ভারী অনুভব হবে না।
শীতের-জন্য-সেরা-ময়েশ্চারাইজার-ত্বকের-ধরন-অনুযায়ী-বাছাই
এছাড়াও, অ্যালোভেরা ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার তেলযুক্ত ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্রতা যোগাতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন যাতে কোনো ধরনের সুগন্ধি বা অ্যালকোহল না থাকে। শীতকালে ত্বকের উপর প্রভাব কমাতে কোলয়েডাল ওটমিল বা ক্যামোমাইল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজ করে।

এগুলো ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে এবং আর্দ্রতা যোগায় যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর।
যৌথ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার বাছাইয়ে ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের শুষ্ক অংশে আর্দ্রতা যোগায় এবং তৈলাক্ত অংশে ভারসাম্য বজায় রাখে।

এজন্য হালকা তেল-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে যা ত্বকের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।

শীতের দিনে ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে সেরা ময়েশ্চারাইজার

শীতের দিনে ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে সেরা ময়েশ্চারাইজার হলো এমন ধরনের, যা গভীরভাবে আর্দ্রতা জোগায় এবং ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য শিয়া বাটার, কোকো বাটার, এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজ করে। এই উপাদানগুলো ত্বকের নিচে পানি ধরে রেখে ত্বককে নরম ও কোমল রাখে এবং শীতকালে শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাদের জন্য সুগন্ধি ও অ্যালকোহল মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কোলয়েডাল ওটমিল এবং অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার সংবেদনশীল ত্বকের জন্য খুব কার্যকর, কারণ এগুলো ত্বকের জ্বালা কমায় এবং খসখসে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। শীতকালে এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক সুরক্ষিত থাকে।

তেলযুক্ত বা মিশ্র ত্বকের জন্য হালকা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া যেতে পারে। হায়ালুরনিক অ্যাসিড ও গ্লিসারিন সমৃদ্ধ জেল ময়েশ্চারাইজার শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এবং অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমায়। এটি ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।

শীতের দিনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর ত্বককে কোমল ও স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব, তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে শীতে ত্বকের শুষ্কতা কমে এবং ত্বক নরম উজ্জ্বল থাকে।

নাইট ক্রিম ও ডে ক্রিমের পার্থক্য এবং শীতের জন্য কোনটি উপযোগী

নাইট ক্রিম ও ডে ক্রিমের পার্থক্য এবং শীতের জন্য কোনটি উপযোগী, তা জানলে শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া আরও সহজ হয়। সাধারণত, ডে ক্রিম ত্বককে সারা দিনের জন্য ময়েশ্চারাইজ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এতে SPF থাকে, যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়া ডে ক্রিম লাইটওয়েট হওয়ায় সহজে শোষিত হয়, যা ত্বকে অতিরিক্ত ভারী ভাব না এনে হাইড্রেশন দেয়।

অন্যদিকে, নাইট ক্রিম গভীরভাবে ত্বক পুনর্নবীকরণে সহায়ক হয়। এতে বেশি পরিমাণে অ্যান্টি-এজিং উপাদান যেমন রেটিনল, পেপটাইডস এবং কোলাজেন থাকে, যা রাতে ত্বকের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। নাইট ক্রিম তুলনামূলকভাবে ঘন ও ভারী হওয়ায় এটি ত্বকে গভীরভাবে কাজ করে, যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে কার্যকর।

শীতের জন্য, নাইট ক্রিম ব্যবহার বেশি উপযোগী হতে পারে কারণ শীতকালে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় এবং গভীর ময়েশ্চারাইজেশনের প্রয়োজন হয়। তবে, শীতের দিনে SPF যুক্ত ডে ক্রিমও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতেও সূর্যের UV রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই শীতকালে দিনে ডে ক্রিম এবং রাতে নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক পুরোপুরি হাইড্রেটেড থাকে।

অতএব, শীতের সময় নাইট ক্রিম এবং ডে ক্রিমের সমন্বয় ত্বকের যত্নে উপযোগী। এই দুই ক্রিমের সঠিক ব্যবহার ত্বককে শীতে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বকের সুরক্ষা ও ময়েশ্চার বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে শীতের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে শীতের জন্য উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও ম্লান হয়ে যায়। শীতে ময়েশ্চারাইজারে থাকা শিয়া বাটার ও গ্লিসারিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক। এই উপাদানগুলো ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে, যা উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়ক।

শীতের জন্য হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। এটি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজারও ত্বকে সজীবতা আনে কারণ এটি প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজারও শীতে ভালো কাজ করে। ভিটামিন সি ত্বকের কালচে দাগ কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। শীতের জন্য এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন যাতে ভিটামিন সি এবং এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান থাকে, যা ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সহায়ক।

অতএব, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে শীতে ভারী ও গভীর ময়েশ্চারাইজিং ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্য বেছে নেওয়া জরুরি। নিয়মিত ত্বকে এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক শীতেও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান থাকে, যা ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়ক।

অ্যান্টি-এজিং উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজার শীতের জন্য কতটা কার্যকর

অ্যান্টি-এজিং উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজার শীতের জন্য বেশ কার্যকর কারণ শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলো স্পষ্ট হতে থাকে। রেটিনল, পেপটাইড, এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ অ্যান্টি-এজিং ময়েশ্চারাইজার ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্রতা দেয়, যা ত্বকের লাইন ও বলিরেখা কমাতে সহায়ক। এই উপাদানগুলো ত্বকের কোষ পুনর্নবীকরণ করে এবং ত্বককে তরুণ রাখে।

শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়, যা ত্বককে আরও বেশি ম্লান করে তোলে। অ্যান্টি-এজিং ময়েশ্চারাইজারে থাকা হায়ালুরনিক অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং ত্বক সুস্থ ও সজীব থাকে। একইসঙ্গে, পেপটাইড ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে মসৃণ রাখতে সহায়ক।

শীতকালে সূর্যের রশ্মি কিছুটা কম থাকলেও UV রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, যা বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। তাই অ্যান্টি-এজিং ময়েশ্চারাইজার, যা SPF যুক্ত থাকে, তা ত্বককে রোদ থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।অ্যান্টি-এজিং-উপাদানযুক্ত-ময়েশ্চারাইজার-শীতের-জন্য-বেশ-কার্যকরশীতে অ্যান্টি-এজিং উপাদানযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ থাকে, যা বার্ধক্যের চিহ্ন কমায় এবং ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহায়ক হয়। নিয়মিত এই ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে শীতে ত্বক আরও বেশি স্বাস্থ্যবান ও উজ্জ্বল দেখায়।

শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ

শীতকালে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি ও পরামর্শ জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যেতে পারে। ত্বক ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার লাগানো সবচেয়ে কার্যকর, কারণ তখন ত্বক কিছুটা আর্দ্র থাকে এবং ময়েশ্চারাইজার সহজে শোষিত হয়। মুখ ও শরীরে আলাদা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, কারণ মুখের ত্বক বেশি সংবেদনশীল।

ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়ার সময় শিয়া বাটার, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, এবং গ্লিসারিনযুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মসৃণ রাখে। দিনে অন্তত দুবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, একবার সকালে এবং একবার রাতে, যাতে শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লাইটওয়েট ও তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ভালো কাজ করে, আর শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘন ও ময়েশ্চারাইজিং পণ্য বেশি কার্যকর। শীতকালে হালকা স্ক্রাব করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

শীতকালে ত্বকের যত্নে সঠিক ময়েশ্চারাইজার এবং নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করা যায়। সঠিক ময়েশ্চারাইজিং পদ্ধতি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ত্বককে শীতে কোমল ও সজীব রাখে।

শেষঃ শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কিছু টিপস

শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কিছু টিপস জানা জরুরি কারণ শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। ত্বক ধোয়ার জন্য গরম পানির বদলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, কারণ অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। ত্বক ধোয়ার পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক।

নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাও শীতকালে ত্বক আর্দ্র রাখার আরেকটি উপায়। গ্লিসারিন শিয়া বাটার বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক সারা রাত আর্দ্র থাকে এবং সকালে সতেজ অনুভব হয়।

এছাড়া, ঘরের বাতাস আর্দ্র রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতকালে ঘরের শুষ্ক বাতাস ত্বককে শুষ্ক করে তোলে তাই হিউমিডিফায়ার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পানি পান এবং ফলমূল খাওয়াও ত্বককে আর্দ্র রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ত্বক ভিতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে।

শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করা সম্ভব। নিয়মিত ত্বকের যত্ন ত্বককে কোমল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেক বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url